সখীপুরের হাতীবান্ধা ইউনিয়নে স্বাস্থ্য সুরক্ষা কর্মশালা অনুষ্ঠিত

আপডেট : রবিবার, ৭ মে, ২০২৩
৩৩২ বার দেখা হয়েছে

ই-পেপার দেখুন

সখীপুর(টাঙ্গাইল)সংবাদদাতা:
টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলার হাতীবান্ধা ইউনিয়নে এসএসকে এর স্বাস্থ্য সুরক্ষা কর্মসূচীর আওতায় কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার (৭ মে) হাতীবান্ধা ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা ও ওই ইউনিয়ন প্রশাসক মো. নাজিমুজ্জামান এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন এসএসকে এর ম্যানেজার মো: এ মুসা বিশ্বাস।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা.রুহুল আমিন মুকুল। অন্যান্যদের মধ্যে এসময় এসএসকে এর টিম লিডার আবু হাসান, ওই ইউপি সচিব মো. আনোয়ার হোসাইন , ইউনিয়ন আ’লীগ সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান খান রবিন, হিসাব সহকারী মো. শফিকুল ইসলাম, তক্তারচালা নতুন বাজার বণিক সমবায় সমিতির সা. সম্পাদক মো. হাসান, সাংবাদিক শরিফুল ইসলাম বাবুল, এসএসকে এর ইএসএস মো:সুমন মিয়া ও ইভেন্ট সাপোর্ট স্টাফ সাদ্দাম হোসেন,ওই ইউনিয়ন পরিষদের মহিলা ও পুরুষ সদস্যগণসহ সামাজিক ও রাজনৈতিক ব্যক্তিগণ উপস্থিত ছিলেন।

কর্মশালার মাধ্যমে জানা যায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগে দারিদ্র সীমার নিচে বসবাসকারী প্রতিটি পরিবারকে বিনামূল্যে পূর্ণ স্বাস্থ্য সেবা প্রদানের জন্য এ কর্মসূচি (এস এস কে) কাজ করছে। পাইলট প্রকল্প হিসেবে সর্বপ্রথম টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলায় ২০১৭ সালে এ প্রকল্প কাজ শুরু করে সফলভাবে শেষ করে। বর্তমানে টাঙ্গাইলের সকল উপজেলা সহ ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন, বরিশাল, বরগুনা, মানিকগঞ্জ, লক্ষ্মীপুর, লালমনিরহাট ও কুড়িগ্রাম জেলায় কার্যক্রম শুরুর মাধ্যমে দেশব্যাপী সম্প্রসারিত করার প্রয়াস চলছে। সখীপুর উপজেলায় এ পর্যন্ত এ কর্মসূচির মোট ১৪৪৭২টি কার্ড বিতরণ করা হয়। এ কার্ডের মাধ্যমে একটি পরিবার এক অর্থবছরে সর্বোচ্চ মোট ৫০ হাজার টাকার চিকিৎসা বিনামূল্যে গ্রহণ করতে পারে।উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স অথবা জেলা সদর হাসপাতালে এ কার্ড প্রদর্শন করলেই মোট ৭৮ টি রোগের চিকিৎসা প্রদান করা হয়ে থাকে। এ স্বাস্থ্য সেবায় ৭৮ থেকে বেড়ে ১১০ টি রোগের চিকিৎসা শীঘ্রই শুরু হবে। সুশীলন নামে একটি এনজিও প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে এস এস কে এর কার্যক্রম বাস্তবায়ন হয়ে থাকে। সখীপুর উপজেলায় ১৪ হাজার ৪৭২ টি কার্ড বিতরণ হয়ে থাকলেও সুবিধা গ্রহণ করছেন মাত্র দুই থেকে আড়াইহাজার পরিবার। বাস্তবায়নকারী সংস্থা সুশীলন মনে করছে যথেষ্ট পরিমাণ প্রচার না থাকায় কার্ডধারী পরিবার তাদের প্রাপ্য সুবিধা গ্রহণ করছেন না। এজন্যই মূলত এ কর্মশালার আয়োজন করা হয়।