1. publisher@banglasomoy24.com : bangla somoy : bangla somoy
  2. admin@banglasomoy24.com : sp-admin :
রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ০৫:৪০ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
৪নং যাদবপুর ইউনিয়নে উন্মুক্ত বাজেট ঘোষণা সখীপুরে সংসদ সদস্যের অঙ্গহানি ও হত্যার হুমকির প্রতিবাদে মানববন্ধন সখীপুরে ইউপি চেয়ারম্যান-মেম্বারদের উপর হামলাকারীদের দ্রুত বিচারের দাবিতে প্রতিবাদ সভা সখীপুরে ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মেম্বারদের অনাস্থা পরিচয় টিকটক লাইভে বিয়ে ভিডিও কলে, স্বীকৃতির দাবিতে শেরপুরের তরুণী সখীপুরে সখীপুরে বর্তমান ও সাবেক এমপির সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ, সাংবাদিকসহ আহত ১০ সখীপুরে এক প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগে জেলা শিক্ষা অফিসের তদন্ত সখীপুরে ইয়াবা ও গাঁজাসহ দুইজন গ্রেপ্তার আইআরআইবি ফ্যান ক্লাব বাংলাদেশ-এর উদ্যোগে টাঙ্গাইলে ঈদসামগ্রী বিতরণ সখীপুরে রংধনু ক্লাবের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত

সখীপুরে ইমামকে লাঞ্ছিত, এলাকাবাসীর বিক্ষোভ সমাবেশ

 

নিজস্ব সংবাদদাতা:
টাঙ্গাইলের সখীপুরে মসজিদ ও মাদ্রাসার বার্ষিক ওয়াজ মাহফিলে ইমামকে ডেকে নিয়ে লাঞ্ছিত করার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল শেষে সমাবেশ করেছে এলাকাবাসী।
শুক্রবার বিকেল ৫ টার দিকে উপজেলার সখীপুর-কালিয়ান সড়কের বেতুয়া গ্রামে ঘন্টা ব্যাপী এ বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। এ বিক্ষোভ মিছিলে এলাকার পাঁচ শতাধিক মুসুল্লি ও জনতা অংশ নেয়। এতে বক্তৃতা করেন বহেড়াতৈল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ওই মসজিদে সাবেক সভাপতি মো. ওয়াদুদ হোসেন, মৌলভী আবদুল মান্নান, ইউপি সদস্য মো. আনিসুর রহমান, সাবেক ইউপি সদস্য মো. আজিজুল হক, মো. আজাহারুল ইসলাম প্রমুখ।
স্থানীয় মুসুল্লিরা জানায়, গত মঙ্গলবার বেতুয়া পশ্চিম পাড়া জামে মসজিদ ও বিশ্বনবী হাফেজিয়া মাদ্রাসা’র ৫১ তম বার্ষিক ওয়াজ মাহফিলে ওই মসজিদ ও মাদ্রাসার ইমাম মুফতি আবু রায়হান হাবীবীকে মাইক দিয়ে ডেকে নিয়ে মাহফিল শেষে অকথ্য ভাষায় গালি গালাজ করেন পীরজাদা আতাউর রহমান ফারুখ। ওই মাহফিলের মিলাদে ইমাম সাহেব কিয়াম না করায় ইমামকে ব্যাতি রেখে ওই পীরজাদা নিজেই মোনাজাত পরিচালনা করেন। এ নিয়ে মুসুল্লিদের একাংশ ক্ষুব্ধ হয়। তারই প্রেক্ষিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে এলাকাবাসী।

ওই মসজিদ ও মাদ্রাসার ইমাম মুফতি আবু রায়হান হাবীবী বলেন, প্রধান বক্তা চলে যাওয়ার পর মিলাদ ও কিয়াম করার সময় আমাকে মাইকে ডেকে নেয় ওয়াজ মাহফিলের সভাপতি পীরজাদা আতাউর রহমান ফারুক সাহেব। আমি কিয়াম ও মোনাজাতে অংশ নেইনি। মাহফিল শেষে তিনি (পীর সাহেব) আমাকে তুচ্ছতাচ্ছিল্য ভাষায় কথা বার্তা বলেন। আমি মিলাদে কিয়াম করি নাই বলে আমাকে মোনাজাত করতে দেননি তিনি। এতে মুসুল্লিরা মনে করেন আমাকে অপমান করা হয়েছে। তাই তারা বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে।

ইউপি চেয়ারম্যান মো. ওয়াদুদ হোসেন বলেন, এই মসজিদে কিছু মুসুল্লি মিলাদে কিয়াম করেন না তাদেরকে ফারুখ পীর সাহেব জোরপূর্বক কিয়াম করাবেন। কিয়াম না করায় এর আগে আরও দুইজন ইমামকে নাজেহাল করে তাড়িয়ে দিয়েছেন তিনি। এ কিয়াম নিয়ে মসজিদে ঝামেলা হওয়ায় দুই বছর আগে উপজেলার আইন শৃংখলার বিশেষ মিটিংয়ে এই মসজিদে মিলাদ ও কিয়াম করতে নিষেধ করা হয়েছে। তারপরেও এই কিয়াম করা নিয়ে ইমাম সাহেবকে ডেকে নিয়ে অপমান করা হয়েছে। আমরা এর প্রতিবাদ জানাই এবং এই মসজিদে পীর সাহেবের সকল বিদআতি কার্যক্রম বন্ধের দাবী জানাই। এই মসজিদে যদি আবারও মিলাদে কিয়াম করা হয় তাহলে মুসুল্লিরা আরও ক্ষিপ্ত হবে। এমতাবস্থায় পীর সাহেব যদি মসজিদের ইমাম সাহেবের কাছে ক্ষমা না চায় তাহলে আমাদের আন্দোলন ও প্রতিবাদ অব্যাহত থাকবে।

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরও খবর
© স্বর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। এই ওয়েবসাইটের লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Theme Customized By BreakingNews