ঢাকা ০৯:৫৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২১ মার্চ ২০২৫, ৭ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ছাত্র-জনতার অন্দোলনের সময় মারধরের ঘটনায় ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার

টাঙ্গাইল সংবাদদাতা
  • আপডেট সময় : ০৩:০১:০৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪ ৬৪ বার পড়া হয়েছে
banglasomoy24 অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার সাগরদিঘী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা মো. হাবিবুল্লাহকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) রাতে তার নিজ বাড়িতে অভিযান চালিয়ে টাঙ্গাইলের ডিবি পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগে ছাত্র-জনতার অন্দোলনের সময় মারধরের ঘটনায় মধুপুর থানায় গত ২ অক্টোবর তার বিরুদ্ধে একটি মামলা হয়। সেই মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে আদালতের মাধ্যমে টাঙ্গাইল জেলহাজতে পাঠায় মধুপুর থানা পুলিশ।

পুলিশ জানায়, গত শুক্রবার রাতে টাঙ্গাইল ডিবি পুলিশের একটি দল ঘাটাইল থানা পুলিশের সহযোগিতা নিয়ে হাবিবুল্লাহর নিজ বাড়ি সাগরদিঘীর হাতিমারা গ্রামে অভিযান চালায়। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে বরাবরের মতো ফেসবুক লাইভে আসেন তিনি। এরপর ডিবি পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে মধুপুর থানায় নিয়ে যায়। নাশিত হত্যার বিচারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন নাশিত হত্যার বিচারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন এ দিকে, হাবিবুল্লাহ্ গ্রেপ্তার হওয়ায় তার নিজ এলাকা সাগরদিঘীতে আনন্দ মিছিল ও মিষ্টি বিতরণ করেছে এলাকাবাসী।

ঘাটাইল কলেজমোড় এলাকায় প্রায় ২ শতাধিক লোকের মাঝে মিষ্টি বিতরণ করেন উপজেলা শ্রমিক দলের আহ্বায়ক সুফী সিদ্দিকী। গারোবাজার এলাকায়ও মিষ্টি বিতরণ করা হয় বলে জানান রাজিবুল ইসলাম রিয়াজ নামে একজন।

স্থানীয়রা জানায়, চেয়ারম্যান হাবিবুল্লাহ্ শুধু সাগরদিঘীতে নয় পুরো ঘাটাইলে একজন বিতর্কিত ব্যক্তি। বিভিন্ন সময় অসংযত আচরণের জন্য তিনি সমালোচিত হয়েছেন। বন কর্মকর্তাকে অশালীন ভাষায় গালিগালাজ, তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির সংবাদ প্রকাশ করায় সাংবাদিককে হুমকি এবং সরকারি উন্নয়ন প্রকল্পের অর্থ আত্মসাতের মতো গুরুতর অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

অপরদিকে, চেয়ারম্যান হাবিবুল্লাহ্ আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন। তিনি সাগরদিঘী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ৬ নং ওয়ার্ডের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক। ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার পর লেবাস পাল্টিয়ে জামায়াত ইসলামীর একটি কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করতে দেখা যায় তাকে।

এ বিষয়ে উপজেলার জামায়াত ইসলামের আমীর মো. রাসেল মিয়া বলেন, হাবিবুল্লাহ্ তাদের দলের কেউ নন। জামায়াত ইসলামের সঙ্গে হাবিবুল্লাহর কোনো সম্পৃক্তা নেই।

ঘাটাইল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রকিবুল ইসলাম বলেন, টাঙ্গাইল ডিবি পুলিশের একটি দল চেয়ারম্যান হাবিবুল্লাহ্কে গ্রেপ্তার করতে ঘাটাইল থানা পুলিশের সহযোগিতা চায়। থানা পুলিশের সহযোগিতায় শুক্রবার রাতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে মধুপুরের একটি মামলায় আদালতের মাধ্যমে জেলে পাঠানো হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

ছাত্র-জনতার অন্দোলনের সময় মারধরের ঘটনায় ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার

আপডেট সময় : ০৩:০১:০৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪

টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার সাগরদিঘী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা মো. হাবিবুল্লাহকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) রাতে তার নিজ বাড়িতে অভিযান চালিয়ে টাঙ্গাইলের ডিবি পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগে ছাত্র-জনতার অন্দোলনের সময় মারধরের ঘটনায় মধুপুর থানায় গত ২ অক্টোবর তার বিরুদ্ধে একটি মামলা হয়। সেই মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে আদালতের মাধ্যমে টাঙ্গাইল জেলহাজতে পাঠায় মধুপুর থানা পুলিশ।

পুলিশ জানায়, গত শুক্রবার রাতে টাঙ্গাইল ডিবি পুলিশের একটি দল ঘাটাইল থানা পুলিশের সহযোগিতা নিয়ে হাবিবুল্লাহর নিজ বাড়ি সাগরদিঘীর হাতিমারা গ্রামে অভিযান চালায়। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে বরাবরের মতো ফেসবুক লাইভে আসেন তিনি। এরপর ডিবি পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে মধুপুর থানায় নিয়ে যায়। নাশিত হত্যার বিচারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন নাশিত হত্যার বিচারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন এ দিকে, হাবিবুল্লাহ্ গ্রেপ্তার হওয়ায় তার নিজ এলাকা সাগরদিঘীতে আনন্দ মিছিল ও মিষ্টি বিতরণ করেছে এলাকাবাসী।

ঘাটাইল কলেজমোড় এলাকায় প্রায় ২ শতাধিক লোকের মাঝে মিষ্টি বিতরণ করেন উপজেলা শ্রমিক দলের আহ্বায়ক সুফী সিদ্দিকী। গারোবাজার এলাকায়ও মিষ্টি বিতরণ করা হয় বলে জানান রাজিবুল ইসলাম রিয়াজ নামে একজন।

স্থানীয়রা জানায়, চেয়ারম্যান হাবিবুল্লাহ্ শুধু সাগরদিঘীতে নয় পুরো ঘাটাইলে একজন বিতর্কিত ব্যক্তি। বিভিন্ন সময় অসংযত আচরণের জন্য তিনি সমালোচিত হয়েছেন। বন কর্মকর্তাকে অশালীন ভাষায় গালিগালাজ, তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির সংবাদ প্রকাশ করায় সাংবাদিককে হুমকি এবং সরকারি উন্নয়ন প্রকল্পের অর্থ আত্মসাতের মতো গুরুতর অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

অপরদিকে, চেয়ারম্যান হাবিবুল্লাহ্ আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন। তিনি সাগরদিঘী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ৬ নং ওয়ার্ডের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক। ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার পর লেবাস পাল্টিয়ে জামায়াত ইসলামীর একটি কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করতে দেখা যায় তাকে।

এ বিষয়ে উপজেলার জামায়াত ইসলামের আমীর মো. রাসেল মিয়া বলেন, হাবিবুল্লাহ্ তাদের দলের কেউ নন। জামায়াত ইসলামের সঙ্গে হাবিবুল্লাহর কোনো সম্পৃক্তা নেই।

ঘাটাইল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রকিবুল ইসলাম বলেন, টাঙ্গাইল ডিবি পুলিশের একটি দল চেয়ারম্যান হাবিবুল্লাহ্কে গ্রেপ্তার করতে ঘাটাইল থানা পুলিশের সহযোগিতা চায়। থানা পুলিশের সহযোগিতায় শুক্রবার রাতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে মধুপুরের একটি মামলায় আদালতের মাধ্যমে জেলে পাঠানো হয়েছে।